কিওয়ার্ড রিসার্চ এর বিভিন্ন রকম পদ্ধতি রয়েছে, সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ না করলে সার্চ ইঞ্জিনের ভালো পজিশনে দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ আপনি যখন এসইও করবেন তখন কিওয়ার্ড কে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। তা না হলে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা সক্ষম হবে না যার দরুন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে নিচু একটা পজিশনে চলে যাবে।
কিওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড এর এই ছোট্ট নামটি কিন্তু আপনাকে বড় একটা পজিশন এনে দিতে পারে। গুগলে আমরা যা লিখে সার্চ করে সেগুলোই কিওয়ার্ড নামে পরিচিত। কিওয়ার্ড দুই ধরনের হয়ে থাকে:
- ছোট কিওয়ার্ড
- বড় কিওয়ার্ড
ছোট কিওয়ার্ড কি?
গুগলে সার্চ করার সময় আমরা যদি খুবই ছোট লেখা লিখে সার্চ করি সেটি হল ছোট কিওয়ার্ড। এই সকল কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম অত্যান্ত বেশি থাকে এবং এগুলো নিয়ে লেখালেখি ও বেশ হয় তাই নতুন যারা আছে তারা ছোট কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে উপরে উঠতে বেশ সময় লাগতে পারে।
বড় কী ওয়ার্ড কি?
গুগলে সার্চ করার সময়ে আমরা যখন পুরো একটি চাহিদাসম্পন্ন ওয়ার্ড লিখে সার্চ করি সেটি বড় কিভাবে হিসাবে পরিচিত। এগুলোর সার্চ ভলিয়ম মোটামুটি একটা পর্যায়ে থাকে এবং এগুলো নিয়ে লেখালেখি খুব একটা হয় না। তার কারণ নতুনরা এগুলোর সার্চ ভলিয়ম মোটামুটি একটা পর্যায়ে থাকে এবং এগুলো নিয়ে লেখালেখি খুব একটা হয় না। তার কারণ নতুনরা বড় কী ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে তারা দ্রুততার সাথে এগিয়ে যেতে পারবে।৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
আসলে ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কিওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে নির্দিষ্ট করে বলা প্রায় অসম্ভব এটাকে সিলেকশন করতে হবে আপনার নিজেকেই। কারণ আপনি যখন পোস্ট তৈরী করবেন ঠিক তখনই কিওয়ার্ডগুলো তার ভিতরে বসাতে হবে অর্থাৎ পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্য মিলিয়ে রেখেই আপনি কি ওয়ার্ডগুলো রাখবেন এতে যদি আপনাকে মাত্র তিনবার ব্যবহার করতে হয় তাহলে তিনবারই করবেন আবার আপনার পোষ্টের সাথে মিল রেখে যদি দশবার রাখতে হয় সেক্ষেত্রে 10 বার রাখতে পারবেন।কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
কিওয়ার্ড যদি সঠিকভাবে রিসার্চ করা না হয় তাহলে আমাদের পোস্ট কোনভাবে গুগলের টপ পজিশনে আসবেনা । গুগোল একটা পজিশনে আনতে যেমন এসইও করা প্রয়োজন কেমন এসিওকে পরিপূর্ণ করতে কিবোর্ড রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ। গুগোল এ কি পরিমান একটা বিষয় নিয়ে সার্চ হয় সেটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না নিয়ে আপনি কখনো পোষ্ট লিখবেন না।এতে করে পোষ্ট লেখার কোন ভ্যালু থাকবে না গুগলের কাছে। কারণ আপনি যে টপিকের লিখলেন সেটা যদি মানুষ গুগলের সার্চ না করে তাহলে গুগল কার কাছে এটি দেখাবে?
তাই গুগলে কি সার্চ হয় কতজন ব্যক্তি সেটিকে সার্চ করে এবং এই সার্চ করার কিওয়ার্ডটির নিয়ে কতজন লেখালেখি করেছে সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং আপনি যে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন সেটি লিখলে গুগল এডসেন্স থেকে আপনাকে কি পরিমান পেমেন্ট করবে সেটি সম্পর্কে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে কিছুটা ধারনা পাবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়
কিওয়ার্ড সম্পর্কিত যেহেতু আমরা মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছি তাহলে এখন আমাদের জানা উচিত কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়।এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো আমার থেকে বেশ ভালভাবে জেনে থাকবেন কিন্তু যারা একেবারেই নতুন তারা এই সকল পদ্ধতি গুলো লক্ষ্য করে আপনার ওয়েবসাইটকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এসইও করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভাল একটা পজিশন এ নিয়ে আসতে পারবেন।
যেহেতু আমরা একেবারে নতুন যারা তাদের নিয়ে কথা বলছে তাই এখনই আমরা কোন প্রকার বাইরে না গিয়ে গুগলের নিজস্ব কিওয়ার্ড প্ল্যানার দিয়ে আমরা কিওয়ার্ড রিসার্চ করব।
যেহেতু আমরা গুগলের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকবে তাই আমাদের একটি গুগোল একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে এটি কমবেশি সবারই থাকে। এরপরে গুগোল কিওয়ার্ড প্লানার লিখে সার্চ করবেন প্রথম অপশনটি তে প্রবেশ করবেন। তারপর Tool টিতে গিয়ে, “Discover new keyword ideas” অপশনে যেতে হবে।
এইবার আপনি যে টপিক নিয়ে লেখালেখি করতে চান সেই টপিকের কিছু অংশ লিখুন। কোন দেশকে টার্গেট করে আপনার এই কী-ওয়ার্ডটি দেখাতে চান অর্থাৎ কোন দেশের লোক এটি সার্চ করলে আপনার পোস্টটি আসবে বা ওই দেশের লোক আপনার এই কী-ওয়ার্ড তিনি একই পরিমাণ গুগলের কাছে সার্চ করেছে সেটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এইখানে আপনি বেশ কয়েকটি ধাপে আপনার কিওয়ার্ড গুলো দেখতে পারবেন সর্বোচ্চ কত থেকে কত মানুষ এটি সার্চ করেছে আবার সর্বনিম্ন কত মানুষ সার্চ করেছে আবার মিডিয়াম রেঞ্জের ক্ষেত্রটা আপনি এখানে দেখতে পারবেন। তাছাড়া আপনার কিওয়ার্ড এর সাথে মিল আছে এমন আরও বেশকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ কিওয়ার্ড আপনাকে দেখাবে যেগুলো মানুষ গুগলের সার্চ করে থাকে। তাছাড়া এগুলো কোন মাসে কি পরিমাণ সার্চ হয়েছে সেগুলো আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার দেখতে পারবে।
আপনার দেওয়া কিবোর্ডটি দিয়ে পোস্ট লিখে যদি রেংক করাতে পারেন কি পরিমান পেমেন্ট পাবেন সেটি সম্পর্কে এখানে আপনাকে একটি ঘরে দেখানো হবে। যদিও এটি পরিপূর্ণভাবে দেয়া হয় না এর থেকে কিছু পরিমাণ অংশ গুগোল নিজের কাছে রাখে এবং বাকি অংশ আপনাকে দিবে। তবে আপনি চেষ্টা করবেন সার্চ ভলিয়ম বেশি কিউআর ডিফিকাল্টি কম এবং সিপিসি বেশি এই ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে লেখালেখি করার। তাহলে আপনার পোষ্ট দ্রুত গুগলের টপ পজিশনে যাবে এবং সিপিও বেশি পাবেন।
আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি কি ওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বেশ ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন এবার আপনিও কাজে নেমে পড়ুন কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিজস্ব একটি ব্লগ পেজ তৈরি করে গুগোল থেকে ইনকামের রাস্তা তৈরি করুন।