তবে এর পাশাপাশি কিছু দিক নির্দেশনা ও আমি দেবো যেগুলো আপনার ব্লগার ক্যারিয়ারে অথবা আপনি যদি ওয়েবসাইট দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান সে ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এগুলো সম্পর্কিত কাজ করতে হলে তার আগে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে ব্লগার কি? এবং ওয়ার্ডপ্রেস কি এগুলো কিভাবে কাজ করে?
ব্লগার কি?
ব্লগার হলো গুগলের এমন একটি পরিষেবা যেখানে আপনি একটি সাবডোমেইন আকারে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। যদিও এটি গুগল কিনে নিয়েছে কিন্তু পড়বে এর মালিকানা ছিল অন্য একটি কোম্পানির ধীরে ধীরে এর ব্যাপক বিকৃতির কারণে গুগোল এটিকে কিনে নিজের আয়ত্তে করে নিয়েছে।ব্লগার এর সাহায্যে কি কি করা যায়?
ব্লগার এর সাহায্যে আপনি অনেক ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন উদাহরণ হিসাবে চলুন আমরা কিছু ওয়েবসাইট দেখি Trickbdm.xyz । এটি মূলত একটি ব্লগার ওয়েবসাইট এখানে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লেখা-লেখি করা হয়েছে। অর্থাৎ আমরা এটিকে একটি ব্লগ সাইট বলতে পারি ব্লগ এবং ব্লগারদের ভিতর ও একটা পার্থক্য রয়েছে যারা শুরুতেই এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারা হয়তো এটি বুঝতে পারবেন না।
ব্লগ বলতে বোঝায় আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে বা কোনও বিষয় সম্পর্ক নিয়ে লেখালেখি করেন সেটাকে। আর ব্লগিং হল আপনি নির্দিষ্ট একটা টপিকের উপর নির্দিষ্ট একটি প্লাটফর্মে লেখালেখি করবেন সেটা কে বোঝায়।
ব্লগার হলো এমন একটি পরিষেবা যেখানে আপনি এই সকল কাজ গুলো করতে পারবেন এখানে আপনি গুগলের সাবডোমেইনে সাহায্যে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ট্রাভেল ওয়েবসাইট, রেসিপি ওয়েবসাইট, ব্লগিং ওয়েবসাইট এবং পার্সোনাল পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
আপনি যখন ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন সেখানে আপনার কোন প্রকার টাকা পয়সা খরচ করতে হচ্ছে না। তবে আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর সাহায্যে উপার্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি কিছুটা টাকা প্রথম পর্যায় খরচ করা দরকার শুধুমাত্র একটা টপ-লেভেল ডোমেইন এর জন্য।
গুগলের কাছে আপনার ভ্যালু কিছুটা বেড়ে যাবে। তা না হলে পোস্টগুলো রেংক করাতে অনেক ধরনের কষ্ট হয়ে থাকে। এখানে আপনার আলাদা করে কোন প্রকার হোস্টিং ক্রয় করতে হবে না। ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরি করা যেমন সহজ তেমনি এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।
আপনি এটাকে নির্দিষ্ট টেমপ্লেট আপলোড দিয়ে মোটামুটি পর্যায় কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসের মত ফ্রীলি সবকিছু পাবেন না। এখানে কোন কিছু কাস্টমাইজেশন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোডিংয়ে সহায়তা নিতে হবে। তাছাড়া এখানে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা এখন জানব।
ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরি করার অসুবিধা কি?
যেহেতু ব্লগারের আপনি কোন প্রকার হোস্টিং ক্রয় করছেন না সেক্ষেত্রে আপনি যদি ইনলিগেল কোন কিছু করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি বাতিল করে দিতে পারে যেকোনো সময়। তাছাড়া আপনি আপনার পোস্টে ও পর্যাপ্ত পরিমান অন পেজ অফ পেজ এস ই ও করতে পারবেন না। পোস্ট ইনডেক্সিং এক ঝামেলা গুগলে রেংকিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এই সমস্যা গুলোর সমাধান করা সম্ভব।
ওয়ার্ডপ্রেস কি?
ওয়াডপ্রেস হলো উন্মুক্ত কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটিকে ব্যবহার করে আপনি একটু ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারবেন খুব সুন্দরভাবেই এক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার কোডিং জানতে হবে না।
ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ কি?
শুরুতেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন যেহেতু এটি একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট নিমিষেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
ট্রাভেল ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে রেসিপি ওয়েবসাইট পর্যন্ত আপনার যেটা ইচ্ছা আপনি সেটাকে কাস্টমাইজেশন করে তৈরি করতে পারবেন এখানে কোন বাঁধাধরা নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের সুবিধা কি?
আপনার ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় একটা চেহারা দিতে পারবেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজেশন চেহারা দিতে পারবেন। এসইও এর ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। দ্রুততম সময়ে পোস্টিং এর সুবিধা পাবেন। এছাড়া গুগলের নতুন নতুন ফিচার সম্পর্কে তথ্য আপডেট তথ্য দিতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইট লোডিং তাড়াতাড়ি হয় সে ব্যবস্থা করতে পারবেন। ইমেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন।
দুটি মিলিয়ে আপনি যদি একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি প্রথমে টাকা-পয়সা খরচ না করে ব্লগার থেকে মোটামুটি পর্যায়ে ধারণা নিয়ে তারপরে ওয়ার্ডপ্রেসে আসুন।
আপনার ওয়েবসাইট লোডিং তাড়াতাড়ি হয় সে ব্যবস্থা করতে পারবেন। ইমেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের অসুবিধা কি?
এটি যদি আপনি শুরুতেই ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। তার মাসিক চার্জ অনেক খরচ করে। আপনি যদি খারাপ কিছু করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার হোস্টিং সাসপেন্ড হয়ে যাবে অথবা অন্যের পোস্ট কপি করলে এটি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।দুটি মিলিয়ে আপনি যদি একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি প্রথমে টাকা-পয়সা খরচ না করে ব্লগার থেকে মোটামুটি পর্যায়ে ধারণা নিয়ে তারপরে ওয়ার্ডপ্রেসে আসুন।